Monday, September 14, 2009

Tri Bhuvan


The following is a write up by Atanu Sain called "Teeri Bhuban". To read the piece you would need to install the Bangla font "Abhra". Atanu is a senior member at the organization and has ben associated with Vikramshila for more nearly 14 years. He looks into the orgainzation's capacity buildin ginitiatives and also provides his helping hand in practically all that goes on! The piece is a humorous one, which taps his inherent comic timing to the hilt!

তিরি-ভুবন
-অতনু সাঁই
তিন সংখ্যাটি আমাদের জীবনে এমন ভাবে জড়িয়ে গেছে যে এর থেকে আর মুক্তি নেই। অনেকে বলবেন, “এ আবার কি কথা, সব সংখ্যাই তো আমাদের জীবনে প্রয়োজনীয়!” আমি বলি, ‘তিন’ আমাদের ভারতীয়দের একটা মানসিকতা তৈরি করেছে, একটা বিশেষ সংস্কৃতির জন্ম দিয়েছে। তাই ‘তিন’ শুধু একটি সংখ্যা নয়, আরও অনেক কিছু। শুরুটা সেই ‘তিনে নেত্র’ থেকে।প্রথম শোনার সময় ‘নেত্র’ কথাটির অর্থ এতোই দুর্বোধ্য ছিল যে, সব মনোযোগ ‘নেত্রতেই’ আবদ্ধ ছিল।তিন ছিলো অবহেলিত। পরবর্তী কালে দেব-দেবী মূর্তিতে ‘তৃতীয় নেত্র’ দর্শন করে কথাটির অর্থ হৃদয়ংগম হয়েছে।‘মানস চক্ষুর’ দার্শনিক ব্যাখ্যা অবশ্য অনেক পরে শুনেছি।তবে নেত্র যে তিনটি, সে ব্যাপারে আর কোন সন্দেহ ছিল না। এইতো রাস্তাঘাটে, বাড়িতে সব জায়গায় শুনি ‘তিনকাল’ গিয়ে এককালে ঠেকেছে। খামোখা ‘তিনকাল’ কেন? ঐ যে ‘তিনের’ মাহাত্ম্য! আবার দেখুন ত্রিলোক - স্বর্গ, মর্ত্য, পাতাল। ঘুরে ফিরে সেই তিন। আর হিন্দু ধর্মের তিন দেবতার কথা তো কারও অজানা নয়।ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর-সৃষ্টি, পালন ও ধ্বংস। লিঙ্গ বৈষম্য দেবলোকেও আছে। পুরুষ শাসিত সমাজ তাড়া করবেনা - হয় নাকি? যাক্গে, ‘তিন’ আছে নিজের মর্জিতে।‘সত্যম্-শিব্ম্-সুন্দরম্!’ ‘শিবম্’ নিয়ে যত বিতর্কই থাকনা কেন, ভারতীয় দর্শনের এই তিনটি মন্ত্রের প্রকৃত অর্থ আজও কি আমরা বুঝেছি? আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক তো চলবেই, চলবে অর্থ বোঝার লড়াই। আক্ষরিক অর্থ বুঝলেও প্রকৃত অর্থ বুঝতে অনেক ঘাম ঝরবে।ঝরুক, তাতে ‘তিনের’ মহিমা কমবে না। শাস্ত্র নিয়ে বেশি নাড়াচাড়া করতে যে পুঁজি দরকার তা আমার নেই। তাই ভাঁড়ার শূন্য হওয়ার আগে চুপ করাই ভালো।
অনেকে বলেন আমাদের, মানে ভারতীয়দের মানসিকতাই ‘থার্ড গ্রেডের’ তাই তিন ছাড়া আমরা আর কিছু ভাবতেই পারি না। আমাদের দেশ ‘তৃতীয়’ বিশ্বের দেশ। প্রথম,দ্বিতীয় কীভাবে হলো, কারা ঠিক করলো? আমরা কেন ‘তৃতীয়’? এসব প্রশ্ন নাই বা করলেন। তৃতীয় বলে অখুশি নাকি, আরে ধুর! ‘তৃতীয়’ বলেই না প্রথমের এতো কাছাকাছি! চুক্তি করে- ভুল বললাম, নেমন্তন্ন করে একেবারে হেঁসেল ঘরে! দেশের নিরাপত্তাকে কাঁচকলা দেখিয়ে প্রথমের সঙ্গে গলাগলি। বিশ্বের সব্বাই দেখুক, তিনের(তৃতীয়ের) কেরামতি।
‘তিনের’ প্রতি ভক্তি ক্রমশ বেড়েই চলেছে। যতই এদিক্-ওদিক্ দেখছি, শুধু ‘তিন’, ‘তিন’ আর ‘তিন’- তিনময় ভুবন। দেশে তিন সরকার-কেন্দ্র, রাজ্য আর পঞ্চায়েত। ‘পিএম টু ডিএম’-এর মত অভিনব তত্ত্বও ফ্লপ! তিনের ত্রাণ দিতে ‘অপছন্দের’ রাজ্য থেকেই যায়। ঝামেলার শেষ এখানেও নয়।পঞ্চায়েত আবার ‘ত্রিস্তর’ – জেলা, ব্লক আর গ্রাম। শেষ পঞ্চায়েত ভোটের পর কোথাও সবুজের মধ্যে লাল, আবার কোথাও লালের মধ্যে সবুজ। সবুজের মধ্যে লাল তো ‘তরমুজ’, লালের মধ্যে সবুজ কী? ‘ম্যাও’- ঝোলা থেকে বিড়াল বের হলো বোধহয়; ওরে থামা, থামা!
সরকার, বাজার-অর্থনীতি আর সাধারণ মানুষ এই ‘তিন’ নিয়েই তো দেশ।আজ বাজার সরকারের উপর চেপে বসেছে, শিক্ষায় বাজার, স্বাস্থ্যে বাজার।এখন সবেতেই বাজার এর সুবিধা দেখতে হবে।১২০ কোটি ক্রেতা হেঁটে চলে বেড়াচ্ছে লোভ সামলানো যায়? সাধারণ মানুষ গোল্লায় যায় যাক্!বাজারের স্বার্থ বজায় থাকুক!নড়বড়ে সরকার আর হাঁসফাঁস করতে থাকা আমজনতা নিয়ে দেশ এগিয়ে চলেছে। একের মধ্যে দুই, ইন্ডিয়া আর ভারত। ইন্ডিয়া সাইনিং!ইন্ডিয়া সুপার পাওয়ার!আর হাড় জিরজিরে ভারত আরও অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে, যাক্! ‘তিনের’ মধ্যে ব্যালেন্স না থাক, ‘তিন’ বেঁচে থাক।
লিঙ্কন সাহেব রাগ করবেন না, আপনার গণতন্ত্রের প্রধান তিন সূত্র –‘অফ দা পিপ্ল’, ‘বাই দা পিপ্ল,’‘ফর দা পিপ্ল,’ কে আমরা একটু পালটে নিয়ছি।আমাদের দেশে ‘অফ দা পার্টি’,‘ ‘বাই দা পার্টি’ এবং ফর দা পার্টি’, এই তিন মন্ত্রই আমাদের চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। দেশ উচ্ছন্নে যায় যাক্, দল বেঁচে থাকুক। সবার উপরে দল সত্য, তাহার উপরে নাই! তবে সুখের কথা আপনারও ‘তিন’ আমাদেরও ‘তিন’।
আমাদের গণতন্ত্রের আরও ‘তিন’ স্তম্ভ হলো- জনপ্রতিনিধি সভা, আমলাতন্ত্র ও বিচার ব্যবস্থা। আজ জনপ্রতিনিধিরা দলের প্রতিনিধি, জনগণের মন্ত্রী নয়, দলের মন্ত্রী। সবেতেই চম্ক, চমকদারি আর চম্কানির রাজনীতি। সবাই যেন কল্পতরু, ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন, উদ্বোধন আর দলের লোক সমাগম!মানুষে মানুষেও কত ভাগ, লাল,সবুজ,টকটকে লাল, গেরুয়া আরও কত কী! জন প্রতিনিধিরা কেউ কেউ আবার সুবিধা মতো সব রং নিয়ে হোলি খেলে, ঘষে ঘষে রং তোলার চেষ্টা করে। তার পর গলা বাজিয়ে বলে দেয়, ‘ওদের সংগে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই, ছিল না’। চলছে ভালোই, চলুক।
‘আমলাতন্ত্র’? থরহরি কম্প, কেউ কেউ কাচ্চি ঘানি! খাঁটি সরিষার তৈল! কেউ আবার কুম্ভকর্ণ, ছ’মাস ন’মাস অন্তর ঘুম ভাঙে। আড়মোড়া ভেঙে, গা ঝারা দিয়ে কাজে লাগতে আরও দু’মাস! কী করে চলছে কে জানে? বিচার ব্যবস্থা!না থাক, বলার দরকার নেই। বিচার ব্যবস্থা নিয়ে বলে, আদালত অবমাননার দায়ে পড়ি আর কি? ‘তিন’ স্তম্ভের মধ্যে ব্যালেন্স নেই তো কি, ‘তিন’ স্তম্ভতো আছে। আমরা তাতেই খুশি।
‘সংরক্ষণ’ আর ‘সংরক্ষণের প্রস্তাব’ দুই-ই আমাদের দেশে বেশ শক্তিশালী রাজনৈতিক তাস।এই পাত্তি বাজারে একবার ফেলতে পারলেই হলো, দরদ নিয়ে দরকষাকষি শুরু হয়ে যাবে।সংরক্ষণ যেভাবেই হোক, যাই হোক, ‘তিনেই’ আটকে থাকে। লোকসভায় মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ ৩৩.৩৩%, যা কিনা তিন ভাগের এক ভাগ। যে কোন সংরক্ষণের প্রস্তাব, তা সে যে দুর্বল শ্রেণীর জন্যই হোক না কেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ‘তিন’ ভাগের এক ভাগ। অন্য সংখ্যা নয় কেন, জানা নেই। তিনের ভাগের ভাগ পেয়ে, ‘সংরক্ষিত’ দল খুশি হয় কিনা জানি না, তবে ‘সংরক্ষক’ তৃপ্তি পান। অন্যদের আক্রমণ থেকে বাঁচেনও বটে। ‘তিন’ বাস্তবিকই আমাদের জীবনের সঙ্গে মিশে গেছে, ‘তিন’ ছাড়া আর উপায় নেই। ভোটের ফলাফলে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা, দুই-তৃতীয়াংশ গরিষ্ঠতা এসব এখন সবার জানা। না জানলে, দুই-তৃতীয়াংশ গরিষ্ঠতা পাওয়া দল তাদের আচরণ দিয়ে বুঝিয়ে দেয় যে গরিষ্ঠতা কাকে বলে। এসব বোঝাবুঝিতে আমি নেই, আমার আগ্রহ ‘তিনে’। এখানেও নির্ধারক শক্তি ‘তিনের’ অংশ, অন্য সংখ্যা নয়। সত্যিই আমাদের ‘থার্ড গ্রেড’ মেন্টালিটি!

জ্ঞান কমিশন তৈরি হয়েছে। হবেই তো আমরা যে কৃষি আর শিল্প বিপ্লবকে পিছনে ফেলে তৃতীয় বিপ্লবে ঢুকে গেছি। জ্ঞান-ভিত্তিক সমাজ তৈরির দিকে না গিয়ে উপায় আছে? আসুন, তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিস্ফোরনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে নিতে ‘তিনের’ গুণগান করি। কারণ, এটাই যে সভ্যতার ‘তৃতীয়’ ঢেউ।

অনেকক্ষণ আঁতলামি করলাম এবার ‘তিনের’ প্রতি ব্যক্তিগত দুর্বলতার কারণ ব্যক্ত করি। একটা সময় ফুটবল খেলতাম, দু’গোল করার পর তৃতীয়টির জন্য আপ্রাণ চেষ্টা, কারণ ‘হ্যাট্রিক’ চাই। দুর্বলতার শুরু সেখান থেকেই। আসলে প্রতিটি জিনিসের অণু-পরমাণুতে আমি ‘তিনই’ দেখি। এই দেখুন, পরমাণু তার মধ্যে আবার তিন ইলেকট্রন, প্রোটন, নিউট্রন। সত্যিই ‘তিন’ লা-জবাব।
শিক্ষায় তো তিনের কেরামতির অন্ত নেই। প্রারম্ভিক-শিক্ষা, মধ্য-শিক্ষা আর উচ্চ-শিক্ষা মূল তিন ভাগ। কোঠারী কমিশনের ত্রি-ভাষা সূত্রতেও তো তিনের রাজত্ব। ‘কোঠারী’ নামেই মন খারাপ হয়ে যায়। আসলে আমাদের দেশে শিক্ষা ছাগলের তৃতীয় ছানার মতো। ছাগলের তৃতীয় বাচ্চা লাফায়, চেঁচায়, দৌড়োদৌড়ি করে, দুধ পায় না। অন্যের দুধ খাওয়া দেখে আর দুধ পাওয়ার ইচ্ছা আরও প্রবল হয়। প্রতিরক্ষার বাজেট লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে। প্রতিবেশী দেশ গলা টিপতে আসছে যে! প্রথমদের কাছে অস্ত্র কিনে টাইট দিতে হবে। আমজনতার জন্য ‘সারে জাঁহাসে আচ্ছা……গানের সুরে গলা কাঁপিয়ে বলে দেওয়া, “দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে কোন সমঝোতা নয়”! আসলে প্রথমদের অর্থনীতি চাঙ্গা করার গুরু দায়িত্ব আমাদের কাঁধে! তাদের অর্থনীতি আবার অস্ত্র বিক্রির উপর দাঁড়িয়ে। কাজেই প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়াও। এখন আমাদের বন্ধুভাব প্রবল। শিক্ষা চুলোয় যাক, বন্ধুত্ব অটুট থাক। কোঠারী কমিশনের ‘জাতীয় আয়ের ছয় শতাংশ’ খরচের সুপারিশ ভুলে যান!শিক্ষার লক্ষ্য সাক্ষরতায় ধরা থাকুক! লিখি, পড়ি আর বিজ্ঞাপন বুঝি। ‘থ্রী আরস্’ এর বদলে টু আরস্ আর অতিপ্রয়োজনীয় ‘এ’! এ-ফর এডভারটাইজমেন্ট। ক্রেতা চাই, ক্রেতা তৈরি করতে হবে। আমরা নির্বিবাদী মানুষ, অত সাতে-পাঁচে থাকি না। সব কিছু বুঝলেও মুখে কিছু বলি না। যাই ঘটুক কুছ্ পরোয়া নেহি, তিনের রাজত্বে সুখেই আছি। ১৫ই আগস্ট, ২৬ শে জানুয়ারি জাতীয় পতাকা উঠিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলে বলি ‘মেরা ভারত মহান’! দেখেছেন আবার ‘তিন’, ত্রিরঙ্গা পতাকা! তবে এই তিন রং-এর শীঘ্রই পেটেন্ট নিয়ে নিতে হবে। এমনিতেই জাতীয় পতাকার ধাঁচে দলীয় পতাকা তৈরি করে মাঝে নিজেদের চিহ্ন জুড়ে দেওয়ার রীতি বেশ পুরানো, তার উপর ২০০৯ এর ১৫ই আগস্ট ব্যান্ডেলে রেল স্টেশনে উড়ল ত্রিরঙ্গা দলীয় পতাকা! যারা উড়ালো তারা হয়তো দলীয় পতাকাকে জাতীয় পতাকা বানাতে চায়! সত্যিই মেরা ভারত মহান! তাই তো বলি ত্রিরঙ্গার পেটেন্ট চাই!

বিখ্যাত দার্শনিক প্লেটো জনসমাজকে তিনভাগে ভাগ করেছিলেন যথা শ্রমিক, যোদ্ধা ও শাসক। আরও অনেক দার্শনিক সমাজকে মূলতঃ তিন ভাগে ভাগ করেছেন। আজও আমরা ভারতীয় সমাজকে আর্থিকভাবে উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত এই তিন ভাগে ভাগ করি। যদিও মধ্যবিত্তের ক্রমশ অবলুপ্তি ‘তিনকে’ সংকটে ফেলছে। ‘তিন’ নিয়ে আরও কতো কী যে লেখার আছে তার ইয়ত্তা নেই। ত্রিকোণমিতি নিয়ে সবে শুরু করতে যাব, পাশের ঘর থেকে ছেলের পড়া শুনলাম, “পৃথিবীর তিন ভাগ জল আর এক ভাগ স্থল। তবে সরাসরি ব্যবহার যোগ্য জল মাত্র ১ শতাংশ!” ত্রিকোণমিতি গুলিয়ে গেল, গ্লোব নিয়ে পড়লাম। বিশ্ব যে হারে উষ্ণ হচ্ছে, তাতে সমুদ্রের জল আরও বাড়বে। হয়তো জলের নিচে চলে যাবে অনেক শহর-গ্রাম। হয়তো নিশ্চিত ধ্বংসের দিকে এগোচ্ছি সবাই। ব্যবহারের জল আরও কমবে, বিশেষ করে পানীয় জলের সংকট প্রকট হবে আরও। কারা যেন বলেছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হবে জল নিয়ে। বাজার দখল নিয়ে দু-দুটো বিশ্বযুদ্ধ পৃথিবী দেখেছে, এখানে আমি কিছুতেই ‘তিন’ চাই না। যদি সব ‘থার্ড গ্রেডরা’ মিলে পৃথিবীর যুদ্ধবাজদের বিরুদ্ধে এক হয়ে চাপ সৃষ্টি করতে পারে তবে যুদ্ধবাজরা ভয় পেয়ে পিছিয়ে যাবে। সেদিন ‘তৃতীয়রা’ হয়ে যাবে প্রথম, আর আমি প্রথমদের স্যালুট করবো, হয়ে যাব প্রথমের ভক্ত।

--------------------

1 comment:

  1. atanu da apnar tiri bhuban lekhata porechi, khub sundar hoyeche. eta satya j tiner jay sarbatra, sabai amra mani, kintu jani ki? apanar lekhata satyi khub meaningful.


    shrabani.

    ReplyDelete